Website Logo

Sunday, July 27, 2025 11:43 AM

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির নতুন দিগন্ত
অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বিনিয়োগ-সুবিধাজনক নীতি এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস মূল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।

এই ঐতিহাসিক সম্মেলনটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কৌশলকে শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সম্মেলনের গুরুত্ব এবং লক্ষ্য বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সাথে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব স্থাপন করা এবং দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোতে টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করা। সম্মেলনটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে, যেখানে তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সম্ভাবনা এবং সুযোগ সম্পর্কে জানতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে আরও দৃঢ় করার জন্য বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ সহযোগিতা চায়। এই সম্মেলন আমাদের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের প্রতি একটি পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।"

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং উদ্যোক্তাদের দৃঢ়তা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। বিনিয়োগ-সুবিধাজনক নীতিগুলো দেশের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর উপর জোর দিচ্ছে। অধ্যাপক ইউনুস বিনিয়োগকারীদের এই খাতে সহযোগিতার আহ্বান জানান, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক হতে পারে।

আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়া থেকে শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের সাইডলাইন ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত যেমন পরিবহন, অবকাঠামো, আইটি, কৃষি এবং শক্তি খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রশংসা করেন। তারা উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ তাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে।

চ্যালেঞ্জ এবং অগ্রগতি অধ্যাপক ইউনুস তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ এবং অর্জনগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের সরকার তাদের জন্য একটি সহজ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

"আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে সহায়ক হবে," তিনি বলেন।

সম্মেলনের ভবিষ্যৎ প্রভাব বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে তারা বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পারে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

এই সম্মেলন দেশের অর্থনীতি এবং সমাজের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।